সরকারী জমিতে বাড়ী, কার্তিক ও অশোক এখন এলাকার ‘ডন’
LCW India: ডিজিটাল ডেস্কঃ দুর্গাপুরঃ জমি সরকারের, কিন্তু রাতারাতি তা বেদখল হয়ে যাচ্ছে, সরকারী জমি প্লট করে বেআইনি ভাবে বিকোচ্ছে মোটা টাকায়? সরকারী জমি কি ভাবে জমি মাফিয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে? কি ভাবেই বা সেখানে বসতি গড়ে উঠছে? সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার অন্তর্গত স্টাফ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় দিনের পর দিন ঘটেই চলেছে এই ঘটানা। সরকারী এই জমির মালিক খাতায় কলমে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। অভিযোগ জনৈক কার্তিক ও অশোক নামে দুই ব্যক্তিকে ৭০ হাজার বা ৮০ হাজার টাকা দিলেই ঐ সরকারী জমি তে মিলে যাচ্ছে বাড়ী তৈরীর সবুজ সংকেত। শুধু তাই নয় টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মিলবে জল, বিদ্যুৎ সহ নাগরিক পরিষেবা। আর সমস্যার শুরুটাই এখান থেকে, সাধারন খেটে খাওয়া,মানুষ বাড়ী তৈরীর আশা নিয়ে করে ফেলছেন মোটা সুদের লোন। ধার দেনা করে সেই টাকা তুলেও দিচ্ছেন আশোক ও কার্তিকের হাতে। এক প্রকার সর্বশান্ত হয়ে পড়ছেন তারা। কিন্তু কে এই অশোক ও কার্তিক।
যারা নিজেদেরকে ঐ এম এ এম সি এলাকার তৃণমূল নেতা বলেই দাবী করছেন, শুধু তাই নয় ঐ এলাকার দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা শংকরলাল চ্যাটার্জ্জীর ছত্রছায়ায় তারা থাকে বলে নিজেদের জাহির করেন। আর এখানেই বিতর্কের শুরু। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায় জানান, কেউ কেউ বেআইনি কাজ করার জন্য তৃণমূলের পতাকাকে ব্যবহার করছেন, এরা কেউ দলের লোক হতে পারে না।
স্থানীয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা দেবব্রত সাঁই জানান, এটা অনৈতিক কাজ, এতে দলের কোন অনুমোদন নেই। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুর চড়িয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। তবে কার্তিক ও অশোকের এই কাজে এখন প্রায় সর্বশান্ত হয়েছেন এলাকার বেশ কিছু কানুষ, কি ভাবে সরকারী জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, তাহলে কি সরষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে আছে প্রশ্ন স্থানীয়দের।
