২৩ শে জুন নদীয়ার কালীগঞ্জে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে সকেট বোমায় প্রাণ যায় দশ বছরের নাবালিকা তামান্না খাতুনের। নাবালিকার মৃত্যুতে নিন্দা ঝড় উঠেছে সারা রাজ্য জুড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ইস্পাত নগরীর দুর্গাপুরে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হন সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। সেদিন সকালে দুর্গাপুরের বাঁকুড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় সিপিএম কর্মী সমর্থকরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্ত্লিকা দাহ করতে গেলে পুলিশের সাথে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোক ওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জেলা কমিটির সদস্য সিদ্ধার্থ বসু বলেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার, তারই প্রতিবাদে আজ রাস্তায় নেমেছি। পুলিশ বাধা দিতে এলে তার প্রতিরোধ করেছি।এদিকে দেখা যায় জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে থেকে এক পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এই উত্তেজনা চলে।

অন্যদিকে একই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের সামনে থেকে ডিভিসি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী নেতৃত্বে। এদিন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব কর্মীরা ডিএমসি মোড়ের রাস্তার উপর বসে পথ অবরোধ শুরু করেন। তাদের দাবি নাবালিকা তামান্না খাতুনের নির্মম হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন শাসক দলের দুষ্কৃতীরা সকেট বোমা নিয়ে গণনা কেন্দ্রে গিয়েছিল। কারণ তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল যে তারা যদি পরাজিত হয় তাহলে বোমা মেরে সব বানচাল করবে। ফল ঘোষণার পর তারা উন্মত্ত হয়ে বোমা ছোঁড়ে।

টানা ১৫ মিনিট বন্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। এরপর দুর্গাপুর থানার সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের সাথেও শুরু হয় ধর্ষস্তি অবশেষে পুলিশে হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর