রথযাত্রা মানেই জগন্নাথ দেবের মহাপ্রস্থান এক বর্ণাঢ্য আচার অনুষ্ঠানের দিন। সাধারণত এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় দুর্গাপুজোর খুঁটি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবার এক ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেল দুর্গাপুরের নিউটন ইয়ংস কর্নারে। ৫০ তম বর্ষে পদার্পণ করে তারা রথযাত্রার দিন করলো শ্যামা পূজোর ইতিহাসে এক অভিনব দৃষ্টান্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, ADDA র চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, SBSTC র চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তথা ক্লাব সভাপতি ডাঃ সত্যজিৎ বসু, ক্লাব সদস্য বান্টি সিং সহ দুর্গাপুরের একাধিক বিশিষ্ট উদ্যোগপতিরা। নিউটন ইয়ংস্ কর্নারের শ্যামা পূজা প্রসঙ্গে ক্লাব সভাপতি ডাঃ সত্যজিৎ বসু ৫০ তম বর্ষে এক বৃহৎ কর্মসূচি নিয়েছেন, যেখানে দুর্গা পূজার ভিড়কেও হার মানাবে তাদের শ্যামা পূজা।

নিউটন ইয়ংস কর্নার বরাবরই তাদের সৃজনশীল ভাবনার জন্য পরিচিত। রথযাত্রা সাধারণত বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব আর শ্যামা পূজা তন্ত্র সাধনা এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু নিউটন ইয়ংস কর্নার এই দুই ভিন্ন ধারাকে মিলিয়ে এক সাংস্কৃতিক ঐক্যের বার্তা দিতে চেয়েছে মানে কেবলমাত্র আচার নয়। এটি হলো সমাজকে একত্র করার এক উপলক্ষ্য। আর সেই ভাবনাতেই তারা রথযাত্রাতে শ্যামা পূজার সূচনা করলেন।

এই পুজো শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নয়, দুর্গাপুর শহরের জন্য গর্বের বিষয়। যা যার মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবনার পাশাপাশি এক স্থাপত্য কলা ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরা হবে নিউটন ইয়ংস কর্নারের এই উদ্যোগ আমাদের বোঝায় যে পুজো কেবল ধর্মীয় আচার নয়, এটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাবনা ও সমাজচেতনার এক সমন্বিত রূপ। রথযাত্রার দিনে শ্যামা পূজোর খুঁটি পুজো করে তারা প্রমাণ করলো সৃষ্টিশীলতা আর উৎসবের আবেগ মিললে যে কোন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর