দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত ডিপিএলের শালবাগান এলাকায় মানুষের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা শৈশবকে ব্যবহার করে রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা নামায় এদেরকে দিয়ে। বিনিময়ে এরা পায় কুড়ি, তিরিশ টাকা।অভিযোগ, শালবাগান এলাকার বাসিন্দা বছর ১৫র সুরজিত রুইদাসকে গত রবিবার কে বা কারা ডেকে পাঠায়, এরপর থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় সুরজিত, গতকাল রাতে খবর আসে সুরজিতের মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বালিগঞ্জে।

পরিবারের দাবি, টাকার লোভ দেখিয়ে রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা নামানোর জন্য ডেকে পাঠায় কেউ বা কারা, আর এটা করতে গিয়েই রেলের তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার, আর রেলের ওয়াগনে করেই কিশোরের নিথর দেহ বালিগঞ্জে পৌঁছে যায়। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শালবাগান এলাকায়। এলাকার এক বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয়রা, দরজা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে তারা। অভিযোগ যখন কিশোরের খোঁজ না পেয়ে স্থানীয়রা থানায় জড়ো হন ।

আর এই পুরো অবৈধ লেনদেনে শাসক দলের মদতেই হয় বলে অভিযোগ শালবাগান এলাকার বাসিন্দাদের। দুর্গাপুর রেল স্টেশন ঢোকা বেরোনোর মুখেই শালবাগান এলাকা, সেহেতু সিগন্যাল না পেলেই পণ্যবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে, আর তখনই রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা নামানোর কাজ শুরু হয়, দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কম পয়সায় কিশোরদের পাওয়ার জন্য দুষ্কৃতীরা তাদেরকে দিয়েই কয়লা ওঠা নামানোর কাজে এদেরকে ব্যবহার করে। আর যার নির্মম পরিণতি হলো পনেরো বছরের কিশোরের মৃত্যু।
সমরেন্দ্র দাস, LCW India দুর্গাপুর