Chiropractor” এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো “কাইরোপ্র্যাক্টর” অথবা “চিরোপ্র্যাক্টর”। এরা হলেন এমন স্বাস্থ্য পেশাদার যারা মেরুদণ্ড, পেশী ও জয়েন্টের সমস্যা নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কাজ করেন এবং সাধারণত হাত ব্যবহার করে চিকিৎসা (ম্যানিপুলেশন) করে থাকেন।এই বিষয়ে একজন যশরী ব্যক্তিত্বের নাম ডা: রজনীস কান্ত।বিহারের পাটনাতে এবং মুম্বাইয়ের তার ক্লিনিক থাকলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি ক্যাম্প করেন। রোগীদের ব্যথা উপশমের পাশাপাশি তিনি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে এই থেরাপি শিখিয়ে স্লোগান তুলেছেন “”পেইন ফ্রি ইন্ডিয়া”” গড়ার।
ডক্টর রজনীস কান্ত খুব ছোটবেলা থেকেই চিরোপ্র্যাক্টর এই বিদ্যায় পারদর্শী। তিনি বলেন, “”আমাদের দেশের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই সিস্টেম নতুন কিছু নয়, যদি দ্বাপর যুগের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাহলে ভগবান কৃষ্ণ কুঁজ ঠিক করেছিলেন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি বহু প্রাচীন। আমি হাজার হাজার দক্ষতা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রী তৈরি করছে। ব্যথা মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছি আমি। অনেক দামি দামি চিকিৎসক এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে আকৃষ্ট হয়েছেন। “দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে মাঙ্গলিক উৎসব ভবনে তিন দিনের ক্যাম্প চলছে।
সোমবার মঙ্গলবার এবং বুধবার ডক্টর রজনীশ কান্ত এবং তার পুরো টিম এখানে থাকবেন। সকাল ১০ টা থেকে শুরু হচ্ছে এই চিকিৎসা। যতক্ষণ পর্যন্ত রোগীরা থাকছেন তিনি তাদের চিকিৎসা করছেন। পারমিতা গোপ জানালেন, “”আমি এক বছর পায়ের ব্যথায় ভুগছিলাম। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বড় বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও সুস্থ হয়নি। আমি নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করিয়েছি। সাময়িক রিলিফ পেলেও সুস্থ হয়নি। রজনীশ স্যারের কাছে এসে আমি তিনটে সিটিং নিয়েছিলাম। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার এই সুস্থতা দেখে আমার অনেক আত্মীয় আজকে ক্যাম্পে এসেছিলেন দুর্গাপুরে। “”যদিও মেডিকেল সাইন্স এখনো পর্যন্ত চিরোপ্র্যাক্টর এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দেয়নি কিন্তু এই পদ্ধতিতে বহু মানুষ সুস্থ হচ্ছেন। ডক্টর রাজনিশের কাছে বহু যুবক-যুবতী এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আগামী দিনে তারা হয়তো এই পদ্ধতিকে অবলম্বন করে ব্যথায় কাতর মানুষকে ব্যথা মুক্ত জীবন উপহার দেবেন এ ব্যাপারে পূর্ণ আশাবাদী ডা: রজনিস কান্ত ।
।HIFAA র পক্ষ থেকে ডা: বিশ্বজিৎ মন্ডল চিকিৎসক থেকে চিকিৎসাকর্মীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করার পাশাপাশি সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের এক বিরাট কর্মযজ্ঞ চলছে।

