সম্প্রতি রবিবার দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একদিন ব্যাপী রন্ধন প্রতিযোগিতা। কথাতেই আছে যে রাঁধে, সে চুল বাঁধে… এই আর সেই প্রবাদ বাক্য মাথায় রেখেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের নিয়ে দুর্গাপুরের মোমো আন্টি ওরফে কণিকা চ্যাটার্জীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো রন্ধন প্রতিযোগিতা। এদিন এই রঞ্জন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নবনিগম প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপারসন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। দুর্গাপুরের মোমো আন্টির এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে চেয়ারপারসন জানান, পিঠে পুলি আজ প্রায় লুপ্ত হতে বসেছে। আর সেই রন্ধনশিল্পকে প্রতিটি ঘরে ঘরে টিকিয়ে রাখতে একটা শুভ উদ্যোগ।

অন্যদিকে এই ধরনের একটি সুন্দর রন্ধন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দুর্গাপুরের বিখ্যাত মোমো আন্টি কণিকা চ্যাটার্জী বলেন মূলত পশ্চিম বর্ধমান জেলার পশ্চিম রন্ধন কাজে উৎসাহী মহিলাদের আরও বেশি করে উৎসাহিত করার জন্যই এই প্রতিযোগিতা।
এদিন সকাল থেকে সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি রেস্তোরাঁয় শুরু হয়েছিল রন্ধন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসনে ছিলেন সুদূর কলকাতা ও মেদিনীপুর থেকে আগত দুই বিচারক। এদের মধ্যে কলকাতার বিচারক রূপাঞ্জনা ভট্টাচার্য জানান দুর্গাপুরের বুকে এই প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রন্ধন শিল্পে সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এই আয়োজন।
এই রন্ধন প্রতিযোগিতার সহযোগিতা করে অনন্যা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার উৎপল রায় জানান এই বন্ধন শিল্পে ধরনের উদ্যোগী মহিলাদের বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন, সেইমতো এই প্রতিযোগিতার প্রতিযোগিতায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসা।
এই নন্দন প্রতিযোগিতায় ৩০ জন প্রতিযোগীনি অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্যে থেকে প্রথম সাতজনকে বেছে নেওয়া হবে পরবর্তী পর্যায়ের জন্য। এরপর ওই সাতজন প্রতিযোগিনী বিকেল বেলায় লাইভ রান্না করে দেখাবেন এবং সেখান থেকে তিনজন প্রতিযোগিনীকে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে। এখানে পিঠেপুলি ও মিষ্টির ওপর বিভিন্ন উপকরণ বানিয়ে নিয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগীরা। এছাড়াও এই রন্ধন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিযোগিনীকে সার্টিফিকেট ও মেডেল প্রদান করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন এই প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তারা।