দেখে মনে হচ্ছে খোলামুখ খনি! আদতে এটি বেসরকারি বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার সুবিশাল কুয়ো। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর বলছেন নগর নিগমের অনুমতি ছাড়া কোন কাজ হয়নি। কিন্তু, কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি সাফ জানাচ্ছে নগর নিগম। এর দায় সম্পূর্ণ নগর নিগমের বলে কটাক্ষে বিজেপি। দুর্গাপুর নগর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড কোর্ট মোড়ে গড়ে উঠছে বহুতল আবাসন। সেখানেই বিশাল কুয়ো খনন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে একাধিক সাবমার্সিবল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কুয়ো খননের পরেই এলাকার সরকারি কুয়োগুলি থেকে জল নামতে শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদহে চরম জল সংকট শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। বিনা অনুমতিতেই এত বড় কুয়ো খনন করেছে এই বহুতল সংস্থা। দ্রুত এই কুয়ো বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাটার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। বিক্ষোভকারী রুমা দে অভিযোগ করেন,”ছোট থেকে এত বড় হয়েছি কিন্তু কোনদিন এত বড় কুয়ো দেখিনি। আর এত বড় কুয়ো খনন করা হলো কার অনুমতি নিয়ে সেটাও আমাদের অজানা।

আমরা নগর নিগমে যাব না প্রয়োজন হলে নগর নিগমের আধিকারিকরা এখানে আসবেন। দ্রুত এলাকায় পানীয় জলপরিসেবা স্বাভাবিক না হলে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব।” কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”এত বড় কুয়ো খনন করা হলো কার অনুমতি নিয়ে। এলাকার মানুষদের সমস্যাই পড়তে হচ্ছে কিসের জন্য। আর পুলিশের আধিকারিক বলছেন নগর নিগমের অনুমতি ছাড়া কোন কাজ হয়নি। তাহলে নগর নিগম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এলাকায় পানীয় জলপরিসেবা স্বাভাবিক করুক।

” সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার শশীভূষণ রায় বলেন,”কোনরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি নগর নিগমের কাছে। তবে আমরা নগর নিগমের সাথে কথা বলবো। কুয়ো বন্ধের ব্যাপারেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি।” দুর্গাপুর থানার ফরিদপুর ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর বিধান চন্দ্র মন্ডল বিক্ষোভকারীদের বলেন, “যেখানে অভিযোগ জানানোর সেখানে জানান। নগর নিগমের অনুমতি ছাড়া তো কিছু হয়নি। যদি নগর নিগম অনুমতি না দিয়ে থাকে তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি সাফ জানিয়ে নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি বলেন,”জলের সংকট হলে এলাকাবাসীরা তো বিক্ষোভ দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই কুয়ো খননের জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। নগর নিগমের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর