“ধর্মীয় উৎসব যদি মানবিকতার সেতুবন্ধন করে দেয়, তবে সমাজ সত্যিই আলোকিত হয়!”
সময়টা ১৯৭৫ সাল। দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে স্বনামধন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বর্গীয় দীনেশচন্দ্র দাস শুরু করেছিলেন একেবারে ঘরোয়া আয়োজনের দুর্গাপূজা। আজ ৫০ বছর পর সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগী রূপ নিয়েছে এক উজ্জ্বল সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে। বর্তমান এই পুজো পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছেন চন্দন জুয়েলার্সের কর্ণধার চন্দন দাস। প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারি অনুদানের প্রাপ্ত টাকা শুধু আরম্বর সাজ শয্যার জন্য নয়, বরং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে ব্যয় করা হয়েছে। মহানবমীর সকালে প্রায় ৩০০ জন দুস্থ ও পিছিয়ে পড়া মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন শাড়ি । তাদের চোখে মুখে ফুটে ওঠে এক অন্যরকম আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার ঝলক। শুধু তাই নয় সরকারি অনুদান থেকে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অন্ডাল পরিবার ও গোপাল মাঠের প্রগতি সোসাইটিকে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই অনুদানের টাকা দিয়ে তারা ভবিষ্যতে সমাজসেবামূলক কাজে আরো বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন। বর্তমান পূজো উদ্যোক্তা চন্দন দাস জানান, “আমাদের পুজো শুধু দেবীর আরাধনয় সীমাবদ্ধ নয়, প্রতিবছর আমরা সরকারি অনুদানের টাকা দিয়ে অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি। দেবীর আশীর্বাদে আমাদের এই উদ্যোগ চলবে আগামীতেও।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন বড় চেয়ারম্যান রমা প্রসাদ হালদার, এ জোন আইসির পুলিশ আধিকারিক এবং দাস পরিবারের সকলে। প্রাক্তন বোরো চেয়ারম্যান রমা প্রসাদ হালদার উদ্যোগী উদ্যোগটির প্রশংসা করে বলেন, “অসাধারণ পদক্ষেপ, দুর্গাপূজা মানে শুধু আনন্দ নয়, মানবিকতার বীজ বপন করা। আজকের এই কর্মসূচি সমাজে নতুন দিশা দেখাবে।”
ব্যবসার পাশাপাশি সমাজের জন্য এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুর্গাপুরবাসী সত্যি বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর মূলমন্ত্রই হলো মানুষের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে দেওয়া। চন্দন জুয়েলার্স ও রামকৃষ্ণ পল্লীর ৫০ বছরের এই পুজো প্রমাণ করলো, ভক্তি আর মানবিকতার মেলবন্ধনেই পূর্ণতা পায় উৎসব।
আজকের দিনটা শুধু উৎসব নয়। “আজকের দিন টা শুধু উৎসব নয়। আমাদের জীবনে আশার আলো নিয়ে এলো!”
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর