সকালের আলোয় দুর্গাপুরের মেন গেটের ধারে পড়েছিলেন এক অসহায় বৃদ্ধ শরীরে কোন বস্ত্র নেই মুখে যন্ত্রণার ছাপ। যন্ত্রণায় ডান হাত তুলতে পারছিলেন না। পথচারীরা অনেকেই তাকিয়ে দেখেছেন। কেউবা ছবি তুলেছেন, কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে কেউই ন্যূনতম মানবিকতাটাও দেখাননি; এমনকি কেউই কর্তব্য মনে করেননি স্থানীয় থানায় খবর দেওয়ার! ঠিক তখনই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার গৌরাঙ্গ বিশ্বাস খবর পাওয়া মাত্র মানবতার টানে তিনি ছুটি যান ওই স্থানে। বুঝতে পারেন ওই বৃদ্ধ সম্ভবত মারধরের শিকার হয়ে রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয়েছে।

গৌরাঙ্গ বাবু তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করেন স্বজন সুজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান রেশমি দেবীর সঙ্গে। খবর পেয়ে রেশমি দেবী তার টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান, সঙ্গে ছিলেন স্বপ্নপূরণ সংগঠনের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনোজিৎ ও অসীম। সকলে মিলে বৃদ্ধটিকে নতুন পোশাক পরিয়ে দেন। এরপর ওয়ারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্সের করে দ্রুততার সাথে তাকে দুর্গাপুরের সরকারি মহা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য, ওই বৃদ্ধকে দেখাশোনার জন্য একজন লোক নিযুক্ত করা হয়। যদিও বৃদ্ধের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মানবতার এই উদাহরণ আজ সমাজে নতুন করে আসা জাগায় যখন অনেকেই চোখ ফিরিয়ে নেন, তখন গৌরাঙ্গ বিশ্বাস এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির এই তৎপরতা মনে করিয়ে দেয় – “এখনো ভালো মানুষ আছে যারা নিঃস্বার্থভাবে অন্যের পাশে দাঁড়ান”। অসহায় বৃদ্ধে র দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন সকলে। গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও তার সহযোগীদের প্রতি সমাজের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর

