দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানায় ঠিক শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ নির্ধারিত নিয়ম ও পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন ছাড়াই বহিরাগত ২ যুবককে নিয়োগ করা হয়েছে। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার দুই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলা মাত্রই শিল্পাঞ্চলের তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনা কে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই আঙ্গুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির দিকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েক সপ্তাহ আগেই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ও দুর্গাপুর কোর কমিটির প্রধান ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, “পোর্টালে আবেদন ছাড়া কোন ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ হবে না” তবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে এই নিয়ম ভেঙে এই নিয়োগ কার ইঙ্গিত হলো? এর আগেও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকেই ঠিকা শ্রমিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলেরই কর্মী সমীর সিং এর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কর্মী মহলের একাংশের প্রশ্ন সমীর সিং কি একাই নাকি তার আড়ালে আরো প্রভাবশালী কারোর ভূমিকা রয়েছে? ভিন জেলার থেকে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগের প্রসঙ্গে বর্ধমান দুর্গাপুর বিজেপির সাংগঠনিক সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্রুপের সুরে বলেন, “এতদিন কোর কমিটির সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কর্ম সাথী পোর্টালের মাধ্যমে ঠিকা কর্মী নিয়োগ হবে। কিন্তু এখানে কিভাবে ভিন জেলার শ্রমিক নিয়োগ হলো? আসলে এটা কোর কমিটি না চোর কমিটি সেটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে দুর্গাপুরের শ্রমিক।”

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে আইএনটিটিইউসি নেতা মানষ অধিকারী বলেন, “চন্দ্রশেখর বাবু কি বলছেন সে কথার আমরা গুরুত্ব দেই না! কারণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়এবং দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর শ্রমিকদের প্রশ্নে যেটা বারবারই উঠে আসে যে স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। সেখানে দাঁড়িয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

সংগঠনের মধ্যেই ফাটল এখন স্পষ্ট একদিকে শ্রমিক সংগঠনের স্বচ্ছতা ও নীতির দাবি মুখে প্রশ্নচিহ্ন, অন্যদিকে শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।” স্থানীয় শ্রমিক মহলের দাবি যদি আইএনটি কিউসি সত্যি শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করতে চায় তাহলে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, নয়তো মানুষের আস্তা ক্রমেই সরে যাবে সংগঠনের উপর থেকে। আর ঠিকা শ্রমিক নিয়োগের নামে ক্ষমতার ব্যবসা পর্দার আড়ালে চলতেই থাকবে ।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর

