দুর্গাপুরে সেন্টার সংলগ্ন মাইকেল ফ্যারাডে রোডের স্টেট ব্যাংক কর্মীদের আবাসনে এক রাতে একাধিক বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কালীপুজোর ছুটিতে বাড়ি যাওয়া এসবিআই এর ক্যাশিয়ার রূপক চট্টোপাধ্যায় ফিরে এসে দেখেন ভাঙা পড়ে আলমারি — গয়না নগদ সহ মূল্যবান সামগ্রী সব উধাও। শুধু রূপক বাবুর ফ্ল্যাটেই নয় একই রাতে আরো দুই ব্যাংক কর্মী মানষ মাহাতো ও বিজেন্দ্র কুমারের বাড়িতেও চুরি হয়েছে। এমনকি এ ঘটনায় বাদ যায়নি ব্যাংকের গেস্ট হাউসও। রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করেন একাধিক পেটের দরজা ভাঙ্গা এই ঘটনায় রূপক চট্টোপাধ্যায় যিনি দিনে ব্যাংকের ক্যাশে কোটি কোটি টাকার লেনদেন সামলান! আর তার বাড়িতেই রাতে নিরাপত্তার অভাবে চুরির ঘটনা শুনে হতভম্ব কণ্ঠে বলেন — “শনিবার তারাপীঠে বাড়িতে গেছিলাম, সকালে আবাসন থেকে ফোন ফোনে খবর পাই চুরি হয়েছে। ফিরে এসে দেখি সব তছনছ তার দাবি কয়েক লক্ষ টাকা সম্পত্তি খোয়া গেছে।”

অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওই আবাসনেরই বাসিন্দা ব্যাংক কর্মী মুখোপাধ্যায় ক্ষোভে বলেন, এক বছর আগেও একটি বাড়িতে চুরি হয়েছিল। এবার আবারো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার একসঙ্গে তিনটি বাড়িতে এমনকি গেস্ট হাউজেও! আমরা ভয় আর নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি দ্রুত সঠিক তদন্ত চাই।”

নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা এবং সিসিটিভিতে মোড়া আবাসনে একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে — দেশের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যখন নিজেদের সরকারি আবাসনেই অসুরক্ষিত, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবস্থা কোথায় দাঁড়িয়ে??
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর

