এক আধ বছর নয়, টানা বারো বছর ধরে দলের নেতাদের একাংশের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি জালে এরা বন্দী। প্রতিশ্রুতি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা মাফিক স্থানীয়রা অগ্রাধিকার পাবেন।তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেছে, মিটিং মিছিল করেছেন এরা এমনকি ভোটও করিয়েছেন এনারা, কিন্তু কাজের বেলায় বহিরাগতরা কাজ পাচ্ছে আর স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে দুর্গাপুরে সগড়ভাঙা কলোনির বেসরকারি কারখানার সামনে বহিরাগত শ্রমিকদের আটকে দেয় তৃণমূল কর্মীরা, আটকে দেওয়া হয় ঠিকাদারকেও, চলে কারখানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ।
আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন কারখানার তৃণমূল শ্রমিক নেতা শেখ রমজান।গত শনিবার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সগড়ভাঙা কলোনির বেসরকারি কারখানায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমাফিক ইউনিয়নের নতুন কমিটি তালিকা জমা করে দিয়ে যান কর্তৃপক্ষর কাছে, আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মীরা সেইদিন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি রাখেন বহিরাগতরা কাজ করুক কিন্তু স্থানীয়রা যেন কাজ পান, এতে সম্মতি প্রকাশ করেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু দিন দুয়েক আগে সেই প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে সোমবার বহিরাগত পাঁচ শ্রমিক ফের কারখানায় ঢুকতে গেলে আটকে দেয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা, আটকে রেখে দেওয়া হয় ঠিকাদারকেও, আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে কারখানার গেট ছেড়ে চলে যান তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি শেখ রমজান। যতক্ষণ না দাবি মিটছে তাদের কাজ না মিলছে ততক্ষন তারা আন্দোলন জারি রাখবেন বলে হুশিয়ারী তৃণমূল কর্মীরা, ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে।