প্রতি বছরের মতো এবারও শহরের বিভিন্ন ঘাটে পালিত হল আস্থা, বিশ্বাস ও ভক্তির উৎসব ছট পুজো। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই হাতে দুধ, গঙ্গাজল, ধূপ আর আরতির থালা নিয়ে পা রাখেন জলাশয়ের পাড়ে।সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেল দুর্গাপুরের মোহন কুমারমঙ্গলম পার্কের ঘাটে। ৮০০ টি ঘাটে উপচে পড়া ভক্তদের ভিড়ে কার্যত উৎসবের আবহে রূপ নিয়েছে গোটা এলাকা। পার্কের চারদিক সেজে উঠেছে আলোকসজ্জায়, বাজছে ভক্তিমূলক সংগীত, ছট পুজোর সঙ্গে মিলেমিশে তৈরি হয়েছে এক অনন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশ।

ভিড় সামলাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, ও স্বেচ্ছাসেবীরা একযোগে নজরদারি চালিয়েছেন শহরের প্রধান ঘাট ও পার্কে। ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে নজরদারি এবং ব্যারিকেডিং করে জনস্রোত নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ, রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দুর্গাপুরের প্রশাসনিক আধিকারিক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সদ ও মন্ত্রী দুইজনেই প্রণাম জানিয়ে শহরবাসীর মঙ্গল কামনা করেন। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “ছট পুজো মানে কৃতজ্ঞতার উৎসব।

সূর্যদেবকে প্রণাম জানানোর পাশাপাশি এ উৎসব আমাদের একতার প্রতীক।” দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে, বেনাচিতি, ইস্পাত নগরী, সিটি সেন্টার, ও নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার ঘাটগুলোতেও ছিল বিপুল ভিড়। কোথাও নারী ভক্তরা পা ডুবিয়ে প্রার্থনায় মগ্ন, কোথাও বাচ্চাদের হাসি আনন্দে গুনগুন করছে সূর্যাস্তের সেই পবিত্র সন্ধ্যা।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর

