
রাজ্য জুড়ে ভুতুড়ে ভোটার খুঁজতে তৎপর হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে সেই তৎপরতা। বুধবার দুর্গাপুরে সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয় উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ, জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী, দুর্গাপুর নিগম প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপারসন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় ও সদস্য ধর্মেন্দ্র যাদব, রাখি তেওয়ারি, দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মুখার্জি সহ শাখা সংগঠনের সভাপতি ও কর্মীবৃন্দ।যেদিন কর্মী সভায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন বিজেপির কোন প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না ভোটার কার্ডের নম্বরের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। না হলে মহারাষ্ট্র হরিয়ানা গুড়গাঁও ও দিল্লির বিজেপির লোক ভোট দিয়ে চলে যাবে। এ প্রসঙ্গে সাংসদ ১৯৭৬ সালে নির্মিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ফকিরা ছবির গানের একটি কলি গেয়ে তিনি বলেন “ইয়ে তোতা ময়না কি কাহানি”… নরেন্দ্র মোদি তোতা আর নির্বাচন কমিশন এখানে তার খাঁচায় বন্দী ময়না।

এরপর কীর্তি আজাদ দু নম্বর ব্লক সভাপতি উদ্দেশ্যে বলেন একটি করে ক্লাসটার তৈরি করতে হবে। সেই ক্লাসটারে ১০ জন সক্রিয় কর্মী থাকবে, তাদের মধ্যে অন্তত একজন মহিলা কর্মী থাকা আবশ্যক। আর তাদের উপর থাকবেন একজন বরিষ্ঠ কর্মী। মাসে একবার উক্ত ১০ জনের কাছ থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে তাদের নিয়ে ব্লক পর্যায়ে বৈঠক হবে। তিনি আরো বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত শাখা সংগঠনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে রাখতে হবে। এবং প্রতিটি বুথে ১০ থেকে ১৫% ভোট বৃদ্ধি করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন সাংসদ কীর্তি আজাদ।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর