দুর্গাপুরের ক্ষুদিরাম মাঠে “ইচ্ছে পূরণ” সংগঠনের দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উদ্বোধনের পর মঞ্চ সরকারি হেলিকপ্টার থেকে গোলাপের পাপড়ি বর্ষণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন – ক্ষমতায় এলে বিজেপি সরকার এমনই বিলাসী ভাবনা বাস্তবায়ন করবে। পুজোর উদ্বোধন উপলক্ষে শুভেন্দু অধিকারী বস্ত্র বিতরণ করলেও রাজনৈতিক মন্তব্য এড়ায়নি। সম্প্রতি কলকাতায় অধিক বর্ষণের ফলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট তলব নিয়ে তিনি সরাসরি পুরসভা বিদ্যুৎ দপ্তর ও কলকাতা পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। শুভেন্দুর বক্তব্য এটাতো প্রমাণিত রিপোর্ট তলব করে সময় নষ্ট করার কিছু নেই। এরপর রাজ্যে সরকারি চাকরি পরিস্থিতি ও বেকার সমস্যা নিয়ে সড়ক হয়ে তিনি বলেন বাংলার শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা ফুঁসছে।

যেকোনো দিন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হবে। যেটা সামলানোর ক্ষমতা এই রাজ্যের সরকার বা পুলিশের নেই, ৪০ বছর ধরে অপেক্ষা করার পরও তাদের চাকরি হয়নি আর কোনদিন হবেও না। রাজ্যে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে শিল্প কারখানা। উচ্চশিক্ষার প্রতি কারো আগ্রহ নেই। অন্যদিকে আসানসোল রানীগঞ্জ খনি অঞ্চলের কয়লার অবৈধ কারবার নিয়ে ফের শাসক দলকে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি বলেন। তৃণমূলের গুন্ডারা কয়লার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। মাটির নিচে কয়লার স্তর শেষ হয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। যে কোনদিনই ভূমিধসে গোটা খনি এলাকা ধ্বসে যেতে পারে। প্রসঙ্গ যোগ এ দিন দুর্গাপুরে ক্ষুদিরাম মাঠে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ইস্যুতে সরব হন।
ব্যুরো রিপোর্ট, Lcw India দুর্গাপুর