দুর্গাপুরের বিজোনে দেশবন্ধু ভবনে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বৈঠক ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। বচসা থেকে শুরু করে হাতাহাতির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভাস্থল। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোর কমিটির সদস্য মানুষ অধিকারী এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতা অমর শংকর দাসের উদ্যোগে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন পরিচালিত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা মজদুর ইউনিয়নের নামে বোনাস ইসুতে বৈঠক ডাকা হলেও সেখানে স্থায়ী শ্রমিকদের ডাকাই হয়নি। বরং বহিরাগত এবং বাউন্সারদের নিয়ে সভা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেন সাধারণ সহ-সম্পাদক স্নেহাশীষ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেন, “নিজস্ব ভবন থাকা সত্বেও কেন দেশবন্ধু ভবনে ইউনিয়নের নামে এই বৈঠক হচ্ছে? আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। যারা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নামে কালিমা লেপন করতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মীরা রুখে দাঁড়িয়েছে”।

পাল্টা সাফাইয়ে তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য মানস অধিকারী জানান, “আমি সভায় উপস্থিত ছিলাম না। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের সাধারণ সভা হয়নি। তাই বোনাস ও পেনশন ইস্যুতে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকরা আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন”।
ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। জেলা বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছেন, “এটাই তৃণমূলের কালচার। নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হয়। আজও নিজেদের সভাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাংলা থেকে তৃণমূল বিদায় নেবে”।
ব্যুরো রিপোর্ট, Lcw India দুর্গাপুর