চুপিসারে নাবালিকা কন্যার বিবাহের তোড়জোড় চলছিল, পরিবারের লোকজন ভিন রাজ্যে পাত্রের কাছে বিবাহের সমস্ত বন্দোবস্তও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল। বিয়ে হবার কথা ছিল মাত্র তিন দিন পরেই, কিন্তু ঠিক তখনই হাজির হয় পুলিশ, সঙ্গে দুর্গাপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। মুহূর্তের মধ্যে ভেস্তে যায় নাবালিকার অকাল বিয়ের ছক। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙ্গা ঘুষিকডাঙা এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে খবর, বাবা মারা গেছে, তাই মা নাবালিকা কন্যার ভিন রাজ্যে বিয়ে দেওয়ার গোপন পরিকল্পনা করেছিল। খবরটি পৌঁছে যায় দুর্গাপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে।

সংস্থার কর্ণধার শিল্পী পাল জানান, “আমাদের কাছে গোপনে খবর আসে যে একটি নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে, সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানাই এবং বুধবার সন্ধ্যায় আমরা ওই বাড়িতে পৌঁছে পরিবারের কাছে জানতে চাই কেন ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে??” এরপর পরিবারকেও সতর্ক করা হয় এবং জানানো হয় যে, আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পূর্ণ না হলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে শিল্পী পাল আরও বলেন, “আজ যদি আমরা চুপ থাকতাম, তাহলে হয়তো আরেকটি নাবালিকার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যেত”। নাবালিকার মা কথা দিয়েছে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না এমন মুচলেখা নেওয়া হয়। সমাজকে বদলাতে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সকল স্তরের মানুষদের”।
সমরেন্দ্র দাস,Lcw India দুর্গাপুর