ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক মহিলা। চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের ধোবিঘাট কর্মকার পাড়ায়। মৃতা মহিলার নাম চৈতালি বণিক, ধোবি ঘাটের কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা, বয়স আনুমানিক বছর ৪০ পেশায় দুয়ারে দুয়ারে ধূপকাঠির ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বছরখানেক আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয় এরপরে অসহায় মহিলা চৈতালি দেবী সংসার চালাতে দুয়ারে দুয়ারে ধূপকাঠির ব্যবসা করতেন। এর মাঝে বিভিন্ন মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানি থেকে বেশ কিছু টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। বর্তমানে অভাবের তাড়নায় সেই ঋণ শোধ করতে না পারায় কোম্পানির লোকজন বাড়িতে এসে দেখে প্রায়শই অপমান করত।

বর্তমানে মৃতা চৈতালি বণিকের দুই কন্যা। যাদের মধ্যে ছোট মেয়ে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে তার একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে,স্বামী মৃত। অভাবের তাড়নায় ঋণের টাকা ঠিক মতন দিতে পারছিলেন না। আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুরে সে বিষয়ে তার বড় মেয়ের সঙ্গে বচসা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ চৈতালী বণিক ঘরের দরজা আটকে টিনের চালের পাইপের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। মৃতা চৈতালি বণিকের ননদ সোমা বণিক জানান সংসারে অভাব আর তাতেই ঋণ! ঋণের দায়ে এই আত্মহত্যা। বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছিল আর সেই অবসাদে এই দুর্ঘটনা।
সোমবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর বড় মেয়ের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়। এরপরে মেয়ে বাইরে চলে গেলে দরজায় খিল আটকে আত্মহত্যা করে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় স্থানীয় দুর্গাপুর থানায়। এরপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর