দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত পৃথক দুটি এলাকায় তিনটি ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শহরবাসীর।
দুর্গাপুরের ইসকন সংলগ্ন বসুন্ধরা পার্কে একটি গাছের ডালে এক গৃহবধূ এবং এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এই দৃশ্য দেখে চমকে গেলেন এলাকার মানুষজন। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ গবাদি পশু চড়াতে গিয়ে একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দুজনের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে দুর্গাপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। তারপরে দুর্গাপুর থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে গাছের ডাল থেকে দড়ি কেটে নামানো হয় দুজনে দেহ। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জসমিন জানান সকালে তারা গরু ছাগল চড়াতে এসে সেখানে দুটি দেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেয় । এরপর পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে।

মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ এলাকাটি পুলিশ লেখা ফিতে দিয়ে কর্ডন করে দেয়। জানা গেছে মৃত যুবক দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার অন্তর্গত জামগড়ার বাসিন্দা। মহিলার নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রসেনজিৎ মাকুর নামে এক ব্যক্তি বলেন গরু জড়াতে এসেছিলাম তাদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। দুজনের কেউই পরিচিত নয়।

পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। ঘটনা তদন্ত নেমেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ মহিলা পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বিবাহ নাকি অন্য কোন কারণ তদন্তে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে দুর্গাপুর সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের বিপরীতের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় আনুমানিক বছর ৪০/৪৫ এর এক ব্যক্তির পচা গলা ঝুলন্ত মৃতদেহ। এলাকাটি কর্ডন করে দেয় পুলিশ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের অন্তর্গত সিআই রণবীর বাগের নেতৃত্বে দুর্গাপুর থানা ফরিদপুর ফাঁড়ি এবং সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা, রাজ দাস জানান সকালে তাদের পাড়ার বেশ কয়েকজন ভেতরে ছাগল প্রতিদিনকার মতন ছাগল চড়াতে গিয়ে মৃতদেহটি লক্ষ্য করে। এরপর পুলিশের খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃতদেহটি আনুমানিক ৪/৫ দিনের হবে। মৃতদেহ থেকে পোকা এবং মাংসপিণ্ড ঝরে পড়ছে । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। আত্মহত্যা নাকি খুন সে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। একই দিনে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে শহরজুড়ে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর