“তিনি গোল বাঁচান ঠিকই, কিন্তু তার প্রতিটি সেভ বাংলার হৃদয় জয় করে নেয়”!
“যাকে নিয়ে লেখা যায় কবিতা, কারণ সে গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে রচনা করে জয়গাঁথা”!
আজ আমাদের প্রতিবেদনে কলকাতা তথা ভারতের এমনই এক গোলরক্ষক ফুটবলারের গল্প, যে শুধু বল থামায় না স্বপ্ন রক্ষা করে : ইনি শংকর রায় একজন প্রখ্যাত ফুটবল গোলরক্ষক। যিনি কলকাতা তথা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছেন। শংকর রায় কলকাতা ফুটবল মাঠে কার অসাধারণ গোলরক্ষক দক্ষতার জন্য পরিচিত। তার প্রফেশনাল ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১৬-১৭ সিজনে আই লিগ সেকেন্ড ডিভিশনে মোহামেডান ক্লাবের হয়ে খেলা দিয়ে। পরবর্তীতে শংকরের কলকাতার তিন প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামাডানে তার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও তিনি ফেলেছেন হায়দ্রাবাদের ফুটবল ক্লাবের। তার গৌরবময় ক্যারিয়ার মূলত মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৮-১৯ সিজনে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় গোলরক্ষক শিলটন পালের জায়গায় প্রতিযোগিতা করে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে ১-১ ড্র খেলে অভিষেক হয়। এরপর ২০১৯-২০ আই লিগ সিজনে মুকুট জয়ের পথে ১৪ ম্যাচে ৬ ক্লিন শীট অর্জন করে মোহনবাগানের আস্থা অর্জন করেন। গোলরক্ষক শংকর রায় দল ফুটবল ক্যারিয়ার সম্পর্কে কি জানালেন শোনাবো আপনাদের।
গোলরক্ষক শংকর রায়ের জন্ম ৯ই মে ১৯৯৫ সালে তিনি একজন ভারতীয় পেশাদার ফুটবলার গোলরক্ষক হিসেবে চলমান সিজনে ভবানীপুর ক্লাবের হয়ে খেলছেন। শঙ্কর রায় মাঠে নামলে প্রতিপক্ষের আক্রমণ থমকে যায় ; কারণ তারা জানে সামনে বাংলার সিংহ দাঁড়িয়ে আছে! তার পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী কলকাতার তিন বড় ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই সমস্ত ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, শুনে নেওয়া যাক ।
শংকর রায়ের ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে গর্বিত তার স্ত্রী, টিভিতে তার স্বামীর সব খেলাই দেখেন পরিবারের সঙ্গে। বর্তমানে তার ইচ্ছা শংকর পুনরায় আইএসএল খেলুক…
শঙ্কর রায় হলেন কলকাতার একজন সামর্থ্যবান এবং পরিশ্রমী গোলরক্ষক। আর পরিশ্রম ও খেলার মান ধরে রাখতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ফিরে গেছেন এবং সেখানে নিয়মিত সুযোগ ও ইতিবাচক পারফরম্যান্স নিশ্চিত করেছেন। কলকাতার ফুটবল ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা চিন্তা করলে শংকর রায়ের নাম অপরিহার্য। তিনি এক সময় সাফল্য অর্জন করেন, এইভাবেই কলকাতার ফুটবল ক্রীড়াবিদদের জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে। কিভাবে গোলরক্ষক শংকর রায় কলকাতার ফুটবল ইতিহাসে একজন কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন। শংকর রায় গোলরক্ষক হিসাবে তার শক্তি ছিল অসাধারণ রিফ্লেক্স এবং শট ব্লক করার ক্ষমতা। তিনি নিজের সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক ছিলেন। এছাড়াও তার শট ও ক্রসের বিরুদ্ধে তার প্রতিক্রিয়া ছিল নজরকাড়া। তার গোলকিপিং এর দক্ষতা তাকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পরিচিতি এনে দেয়। “শঙ্কর রায় জানেন- ফুটবল শুধু খেলা নয়, আত্মত্যাগের আরেক নাম”! “শংকর রায় মানেই আত্মবিশ্বাসের আরেক নাম, শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থাকা সেই নিঃশব্দ প্রাচীর”। যখন অন্যরা হাল ছেড়ে দেয়, শংকর রায় তখন ডানায় ভর করে উড়তে শেখায় বলকে থামিয়ে দিয়ে।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India কোলকাতা