মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা ছিল সরকারী জমি দখল করা যাবে না। নবান্নর প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ছিল এই কড়া বার্তা। কিন্তু সত্যি কি শোনা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা? দুর্গাপুরে সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জমিতে দিব্বি চলছে রমরমিয়ে পার্কিং জোন। ১০ ও ২০ টাকার সাদা ও হলুদ রঙের কুপন ছাপিয়ে দিব্বি চলছে এই পার্কিং জোন। কে রয়েছে এর অন্তরালে? আর কেই বা রেখেছে এই পার্কিং কর্মীদের? নামটা শোনা যাক তার, এই পার্কিং চালায় কেবু! কিন্তু কে এই কেবু?? যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তাকেও তোয়াক্কা না করার দুঃসাহস দেখায়? যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ করে রাজ্যের কোষাগারকে শক্তপোক্ত করতে চাইছেন, যাতে করে রাজ্যের প্রকল্পগুলির সুবিধে সাধারণ মানুষ পান,তখন কিভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডে সরকারী জমিতে দিনে দুপুরে বুক ফুলিয়ে কুপন ছাপিয়ে চলছে পার্কিং জোন? আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান কবি দত্ত সাফ জানিয়ে দিলেন পর্ষদের অনুমতি ছাড়া ঐ পার্কিং জোন চলছে, আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ চেয়ারম্যান।

মাস কয়েক আগে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে বিভিন্ন জায়গায় আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের পার্কিং লিজের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও দিব্বি সেই পার্কিং জোন চলছিল কুপন ছাপিয়ে, এই খবর সামনে আসতেই আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ আইনি ব্যবস্থা নেয়, ঐ পার্কিং জোনগুলোকে ফ্রি পার্কিং জোন করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের বিতর্কে সেই পার্কিং জোন।এখন দেখার বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে প্রসাসন কোনো সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে কিনা? প্রশ্ন উঠেছে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নবান্নর প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরকারী জমি দখল মুক্ত করার কথা বলছেন, তখন কেন তার নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই সরকারী জমির ওপর চলছে পার্কিং জোন? উত্তরটা প্রশাসনিক কর্তারাই একমাত্র দিতে পারেন।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর