কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত একদা দুর্গাপুরের বাসিন্দা, বর্তমানে কলকাতা এবং আমেরিকার কর্মরত ছিলেন বিতান অধিকারী। ১৬ই এপ্রিল স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে যান, ২৪ শে এপ্রিল সেখান থেকে ফেরার কথা ছিল আর এরই মাঝে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। খবর পৌঁছায় বিতানের কলকাতার বাড়িতে এবং দুর্গাপুরে শোকাহত দুর্গাপুরের তার সহপাঠীরা। শিক্ষাজীবনের শুরু হয়েছিল স্কুল থেকে এরপর উচ্চ মাধ্যমিক শিবাজী রোড বয়েজ হাই স্কুল থেকে পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে কলকাতা টিসিএস সংস্থায় কর্মজীবনে প্রবেশ সেখানে এক বছর থাকার পর কর্মসূত্রে বিতান পাড়ি দেয় আমেরিকা। বিতানের জন্মস্থান ২০/২৮ সেকেন্ডারি রোড সেখানে শোকোস্তব্ধ এক পরিবেশ। কি জানালেন সেখানকার বাসিন্দারা শুনে নেয়া যাক।

এরপর আমরা যোগাযোগ করেছিলাম দুর্গাপুরে বিতানের সহপাঠীদের সঙ্গে সেখানে তাদের শোক বিহ্বল পরিস্থিতি। বিতানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বন্ধুরা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করার পাশাপাশি একসঙ্গে বড় হওয়া। তারপর কর্মসূত্রে ছিটকে যাওয়া বিভিন্ন দিকে। কিন্তু তারপরেও বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন কে চিরস্থায়ী করে রাখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত যোগাযোগ থাকত তাদের। কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়ার ছবি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছিল বিতান। কিন্তু জঙ্গিদের এইরূপ নক্কারজনক নিন্দনীয় ঘটনার বলি হবে তাদেরই বন্ধু এটা কখনোই মেনে নিতে পারছেন না নিহত বিতান অধিকারীর সহপাঠীরা, কি জানালেন তারা।

নির্দোষ প্রাণের এমন পরিণতি কোন ধর্ম কোন আদর্শ গ্রহণ করে না এই মৃত্যু আমাদের লজ্জিত করে। যারা ভালবাসা নিয়ে এসেছিল তারা ঘৃণার বলি হলো। ইতিহাস যেনো আর কোনোদিন না লেখে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা। তোমরা এসেছিলে প্রাকৃতিক প্রকৃতির সৌন্দর্য ভোগ করবে কিন্তু নির্মম নিষ্ঠুরতা তোমাদের কেড়ে নিল। বিতানের পরিবারের জন্য রইল সমবেদনা।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর