১৮ ই এপ্রিল চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দুর্গাপুরের শোভাপুর সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে। রোগীর পরিবার-পরিজন বিক্ষোভ দেখানোর সময় চলেছিল কয়েক রাউন্ড গুলি। পুনরায় ২৮ শে এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ব্যাপক উত্তেজনা দুর্গাপুরের শোভাপুর সংলগ্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে দূর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত যুবকের নাম নিরঞ্জয় দেওয়াসি(৩২)। কাঁকসার আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংবিলের বাসিন্দা।

দুর্গাপুরের অঙ্গদপুরের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার ঠিকা শ্রমিক ছিলেন। পরিবার-পরিজনের অভিযোগ, কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার পর বুকে ব্যথা শুরু হয় নিরঞ্জয়ের। তারপর তাকে দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় শোভাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার সকালে হাসপাতালে তরফ থেকে জানানো হয় নিরঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে তারপরেই তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতালের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে চলে তুমুল বিক্ষোভ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে চলে বচসা, পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। মৃত যুবকের বৌদি অমৃতা দেওয়াসীর অভিযোগ,”রাতে আমার দেওরের বুকে ব্যথা হয়। তখন কারখানা থেকে তাকে ভর্তি করা হয় ইএসআই হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাতেই আমাদের পরিবারের লোকজন নিরঞ্জনকে দেখতে চাইলে প্রথমে দেখতে দেওয়া হয়নি। পরে কিছু সময়ের জন্য দেখতে দেওয়া হয়। আমাদের পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিল আপনারা না পারলে বলুন আমরা অন্য জায়গায় নিয়ে যাব। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল সুস্থ হয়ে যাবে।

সকালে জোর করে আমাদের পরিবারের কয়েকজন হাসপাতালের ভেতর যায়। গিয়ে দেখে নিরঞ্জয়ের মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে আর হাত-পা বাঁধা রয়েছে। এই মৃত্যু সম্পূর্ণ চিকিৎসার গাফিলতিতে হয়েছে। আমরা এর বিচার চাইছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত কি কারণে মৃত্যু হয়েছে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বিক্ষোভ চলবে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তালা খোলেননি। সেই জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর