দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী ও বিগ বাজেটের দুর্গা পূজো গুলির মধ্যে অন্যতম অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ এ বছর তাদের পুজো ৫৮ তম বর্ষের পদার্পণ করল। শুক্রবার সন্ধ্যায় উৎসবের সূচনা লগ্নে অনুষ্ঠিত হলো “খুঁটি পুজো”, যা দুর্গাপুজোর সূচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অর্চিতা বিদ, বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সন্দীপ দে, সুপ্রিয় গাঙ্গুলী, দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জীব দে সহ দুর্গাপুর পুরনিগমের প্রাক্তন কাউন্সিলররা এবং অগ্রণী সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদিকা সোনা চ্যাটার্জী ও ক্লাবের সদস্যরা। ৫৮ তম বর্ষে দুর্গাপূজো অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ বেছে নিয়েছে এক আন্তর্জাতিক থিম। থাইল্যান্ডের ঐতিহাসিক বুদ্ধমন্দির। “অয়াট আরুন”(Wat Arun)। এই থিমের মাধ্যমে মন্ডপে তুলে ধরা হবে থাইল্যান্ডের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্যিক ঐতিহ্য। পুরোহিতের বৈদিক মন্ত্র সঙ্গে মহিলাদের উলুধ্বনি ও ঢাকের বাজনায় খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এদিন উপস্থিত অতিথি বৃন্দের উপস্থিতিতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে খুঁটি পুঁতে মন্ডপ তৈরির কাজ শুরু করা হয়। মন্ত্রী পরিদ্বার বলেন অগ্রণী সংস্কৃতি পরিষদ শুধু একটি পুজো কমিটি নয় এটি দুর্গাপুরের সাংস্কৃতিক ধারক ও বাহক। প্রতিবছরই তাদের নতুন থিম, ভাবনা ও সামাজিক বার্তা দুর্গাপুরবাসীকে গর্বিত করে। ভারতবর্ষের বাইরে বেরিয়ে এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাঙালির সৃষ্টিশীলতাকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।

অন্যদিকে পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন সারা বছর ধরে দুর্গাপুরবাসী অপেক্ষা করেন অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের অগ্রণী ভূমিকা দেখার জন্য, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না আজ থেকেই দুর্গাপুরের দুর্গাপুজোর সূচনা হয়ে গেল।

অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের এ বছরের দুর্গাপুজো সম্পর্কে ক্লাব সদস্য কৌশিক সামন্ত জানান, এবার তাদের পূজোর থিম থাইল্যান্ডের “ওয়াট অরুণ” বুদ্ধমন্দিরের আদলে তৈরি হবে। পুজোর বাজেট আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা।

শুধু রূপে নয়, ভাবে ও দর্শনার্থীরা অনুভব করতে পারবেন এক ভিন্ন ধর্মীয় পরিবেশ। যেখানে শান্তি সৌন্দর্য অশুদ্ধতার বার্তা ছড়িয়ে পড়বে অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে দুর্গাপুরের দুর্গাপূজাকে আরো বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও শিক্ষামূলক করে তুলবে। এখন শুধু দিন গোনা কবে আসবে মা, আর সেই আগমনের পথ তৈরি করতে প্রস্তুত দুর্গাপুরের অন্যতম গর্ব অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ।
সমরেন্দ্র দাস, Lcw India দুর্গাপুর